গত বছরের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রচার শিবিরের সঙ্গে রাশিয়ার সম্ভাব্য যোগসাজশ বিষয়ে প্রশাসনে চলমান দ্বন্দ্বের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ড ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যে কাউকে ক্ষমা করার পুরো এখতিয়ার তার আছে।
শনিবার স্থানীয় সময় সকালের দিকে করা এক টুইটে ট্রাম্প এ কথা বলেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ট্রাম্প লিখেছেন, “যখন সবাই জানে যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ক্ষমা করার পূর্ণ ক্ষমতা আছে, তখন সেগুলো নিয়ে চিন্তা কেন, যখন আমাদের বিরুদ্ধে ফাঁস করা তথ্যই এ পর্যন্ত একমাত্র অপরাধ। ভুয়া খবরগুলো।”
ক্ষমা নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্য গণমাধ্যমে এই সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। রাশিয়া বিষয়ক তদন্তের ফল অনুকূল না হলে ট্রাম্প যে বিকল্প পথগুলোর সম্ভাবনাও যাচাই করে রাখছেন, মন্তব্যে তারও ইঙ্গিত আছে বলে মনে করছেন তারা।
কাকে ক্ষমা করবেন তা না বললেও ট্রাম্পের টুইট যে ওয়াশিংটন পোস্টের চলতি সপ্তাহের এক প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া তা বোঝা যাচ্ছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিজেকে, পরিবারের সদস্যদের কিংবা তার ঘনিষ্ঠদের ক্ষমা করার কি ধরনের এখতিয়ার রাখেন ট্রাম্প এবং তার আইনজীবি দল এখন সেসব খতিয়ে দেখছে বলে ওয়াশিংটন পোস্টের ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল।
তবে ওই প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু কতোটা সঠিক, তা নিশ্চিত করতে পারেনি রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে শুক্রবার ওয়াশিংটন পোস্টের অন্য এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত গত বছর ট্রাম্পের উপদেষ্টা জেফ সেশনসের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচার নিয়ে আলোচনা করার কথা তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানোর সময় যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আড়িপেতে শুনেছে। ওই সময় সেশনস একজন সিনেটর ছিলেন।
ট্রাম্প তার টুইটে এরও প্রতিবাদ করে বলেছেন, “এসব অবৈধ তথ্য ফাঁস অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।”
প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ সংক্রান্ত সিনেটের শুনানিতে সেশনস তার সঙ্গে ২০১৬ সালে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলিয়াকের বৈঠকের কথা বলেননি; পরে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হলে তিনি বলেছিলেন, বৈঠকে নির্বাচনী প্রচার নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
শনিবার করা অন্যান্য টুইটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট তার নিয়োগ করা অ্যাটর্নি জেনারেল, রাশিয়া বিষয়ক তদন্তে নেতৃত্ব দেওয়া স্পেশাল কাউন্সেল এবং সিনেটে ওবামাকেয়ার বাতিলে ব্যর্থ রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্যদের নিয়েও হতাশা ব্যক্ত করেন।
নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটন কিংবা এফবিআই প্রধান জেমস কোমির বিরুদ্ধে অ্যাটর্নি জেনারেল কিংবা স্পেশাল কাউন্সেল তদন্ত করছে না কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
“অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন কেন অ্যাটর্নি জেনারেল কিংবা স্পেশাল কাউন্সেল হিলারি ক্লিনটন বা কোমির অপরাধ খতিয়ে দেখছে না, যেখানে ৩৩ হাজার ইমেইল মুছে দেওয়া হয়েছিল।”
Comments
Post a Comment