যুক্তরাজ্যের
পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসে আয়োজিত
বাংলাদেশ বিষয়ক সেমিনারে আওয়ামী লীগের অংশ না নেওয়াকে রহস্যজনক
বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বুধবার
লন্ডনের ব্রিক লেনে এক সংবাদ সম্মেলনে
তিনি বলেন, ওই আলোচনায় অংশ
নিতে ঢাকা থেকে আওয়ামী লীগের তিনজন জ্যেষ্ঠ নেতা লন্ডনে এসেছেন।
“উনারা
দুপুরে লাঞ্চ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু তারপরে কেন গেলেন না, এটা রহস্যের, সবার কাছেই একটা রহস্য।”
লন্ডনের
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকালে হাউস অব লর্ডসে ‘বাংলাদেশে
সন্ত্রাসবাদ ও আইনের শাসন’
শিরোনামে একটি সেমিনার হয়।
এই
সেমিনারে অংশ নিতে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি লন্ডনে গেলেও শেষ পর্যন্ত তারা তাতে অংশ নেননি বলে সংবাদমাধ্যমের খবর।
হাউস
অব লর্ডসের স্বতন্ত্র সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কারলাইল আয়োজিত ওই আলোচনায় বিএনপির
প্রতিনিধিরা ছাড়াও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর এবং মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিনিধি ছিলেন।
ওই
আলোচনায় অংশ না নিয়ে আওয়ামী
লীগ নেতারা আয়োজকদের অপমানিত করেছেন মন্তব্য করে খসরু বলেন, “উনারা দেশে গণতন্ত্র বিশ্বাস করেন না। বিদেশেও প্রমাণ করলেন গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না, আলোচনায় বিশ্বাস করেন না, সমঝোতায় বিশ্বাস করেন না, যুক্তিতে বিশ্বাস করেন না।”
সরকারি
নয়, ব্যক্তিগত উদ্যোগ হওয়ায় ওই সংলাপে অংশ
নেননি বলে আওয়ামী লীগ নেতাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বলে খবরে এসেছে।
এ
প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, “ব্রিটিশ পার্লামেন্ট এগুলোর উদ্যোগ নেয় না। পার্লামেন্ট সদস্যরা নেন। উনারা (আওয়ামী লীগ) বহু বছর ধরে এটাতে আসছেন। গতকাল কেন উনাদের হঠাৎ করে বোধোদয় হয় যে, এটা
উনাদের মিসলিড করা হয়েছে।
“এটা
কোনো সদুত্তর উনারা দিয়েছেন বলে আমার মনে হয় না। উনারা
কেন আসলেন না সেটার সদুত্তর
উনারাই দিতে পারবেন। যে কারণগুলো দেখিয়েছেন,
অবশ্যই এ কারণগুলোর কোনো
যৌক্তিকতা এখানে নেই।”
এই
বিএনপি নেতা বলেন, আলোচনায় অংশ না নেওয়ার কারণ
হিসেবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বসতে আপত্তির কথাও বলা হয়েছে।
কিন্তু
তারা এ বিষয়ে আগে
আয়োজকদের কাছে কোনো আপত্তি তোলেনি বলে দাবি করেন তিনি।
Comments
Post a Comment