সরকারি মদদ পেয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ‘বিরোধী দল ও বিরোধী মত দমন করতে পুলিশকে লাগামহীন লাইসেন্স দেয়ার কারণেই সামাজিক অপরাধগুলো প্রশ্রয় পাচ্ছে। অনাচার বৃদ্ধির কারণেই মানুষ এখন ভয়-ভীতি-শঙ্কার মধ্যে দিনাতিপাত করছে।’
গত বৃহস্পতিবার আ স ম আবদুর রবের বাসায় দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও নাগরিক সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বদিউল আলম মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে উপস্থিতি হয়ে অতিদ্রুত সভা সমাপ্তির তাগিদ দেন। পরে তারা বাসার সামনেও অবস্থান নেন। পুলিশি বাধা পেয়ে দ্রুত বৈঠক শেষ করেন তারা।
অশুভ উদ্দেশেই দেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আ স ম আব্দুর রবের বাসায় পুলিশ প্রবেশ করেছে উল্লেখ করে বিএনপি নেত্রী বলেন, ‘এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে ভয়াবহ আতঙ্ক সৃষ্টি করা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী থাকার জন্য বর্তমান সরকার যাদের প্রতিপক্ষ মনে করে তাদের নির্মূল করতে নানা পন্থা অবলম্বন করেছে। তারই অংশ হিসেবে রবের বাসায় বৈঠক না করতে পুলিশকে ব্যবহার করা হয়েছে।’
অপর এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দেশে এখন দুঃশাসন চলছে। এই কারণেই রাষ্ট্র ও সমাজে বিরাজমান রয়েছে চরম অস্থিরতা। মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা পুরোপুরি কেড়ে নিয়ে তুঘলকি রাজত্ব বলবৎ করা হয়েছে।’ এসময় তিনি অবিলম্বে সরকারকে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক আচরণ থেকে সরে আসার আহ্বান জানান।
Comments
Post a Comment